ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত কয়েকদিনে ৪ মামলায় ৩৫ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে বিএনপি-জামায়াতের ১৫০ নেতাসহ অজ্ঞাত ১০০০ এর বেশি জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে ৪টি মামলা দায়ের করে থানা-পুলিশ। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে ৪টি মামলা দায়ের করে থানা-পুলিশ। গত ১৮ জুলাই ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এছাড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা মোড় এলাকায় পুলিশ বক্স ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করাসহ পুলিশ ওপর হামলা করে আন্দোলনকারীরা। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে এলাকায় কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। তাদের দমন-পীড়নের জন্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, বিএনপি-জামায়াতের নাশকতাকারীদের ধরতে পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে। এ বিষয়ে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি বা সহযোগী কোনো অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত নয়। তারপরও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। এতে জেলার বেশিরভাগ নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়া। সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত নয় এমন কাউকেই আমরা আটক করিনি। আমরা সিসি ফুটেজ এবং ভিডিও দেখে যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে আমরা আটক করতেছি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, সবকিছু মিলে এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেছে।