লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সবাইকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি সবার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা ও শরীর চর্চা) যেমন সবাইকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। তেমনি নিজেকে আরো উন্নত করবার একটা চেতনা জাগ্রত হবে। তিনি বলেন, খেলাধুলা, লেখাপড়া, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়ে নিজের দেশের সংস্কৃতি, নিজের জ্ঞান, নিজের মেধা মনন, সেটা প্রকাশ করার সুযোগ পাবে। সেজন্য আমরা খেলাধুলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিই।
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা সরকারে এসেছি তখন থেকে আমার প্রচেষ্টা, বাংলাদেশ যেন খেলাধুলায় আরো এগিয়ে যায়, আমাদের ছেলেমেয়েরা এতে আরো বেশি মনোযোগী হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় আমরা খেলার মাঠ করে দিচ্ছি, সেটা হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। কারণ আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাই যেন খেলাধুলার প্রতি আরো মনোযোগী হয়।
প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, এটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেজন্য আমরা প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করে দিচ্ছি। আমরা চাই খেলাধুলাসহ সব দিক থেকে দেশ এগিয়ে যাক। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি।
খেলাধুলায় বাংলাদেশ ভালো করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা আছে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ভালো খেলোয়াড় উঠে আসছে। তারা শুধু দেশে না, দেশের মাটি পার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা বয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা, এটা তারা করছে।
ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে এক সময় উপযুক্ত খেলোয়াড় গড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা করে কোনদিন হয়তো ফুটবলে আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারি। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।