কর্মসূচি ঠিক করতে ফের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল চারটায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শুরু হয়। প্রথম দিনে ‘গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’, এরপর এনডিএম, গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বৈঠক হবে।
আগামীকালও (শুক্রবার ১২ জুলাই) তিনটি দলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ নেতৃত্ব দেবেন। আগামীকাল প্রথমে গণ অধিকার পরিষদ (মশিউজ্জামান), এরপর ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। এরপর নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনের সব শরিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে নতুন করে মাঠের কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি। তবে সামনের কর্মসূচিগুলো কতটা যুগপৎ, কতটা বিএনপি একা করবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। যদিও ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সরকারের দুর্নীতি ও ভারতের সঙ্গে দেশের ‘স্বার্থবিরোধী’ চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে গণসংযোগসহ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেছে। কর্মসূচিগুলো ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ভিত্তিক হবে, নাকি একসঙ্গে মিলিয়ে করা হবে, সেটি জানা যায় নি। দুই-এক দিনের মধ্যে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ জুলাই নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক দফার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ওই এক দফায় ‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক দফা বাস্তবায়নের ডাক দেয়া হয়।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপির ) মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, স্যোসাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী।