এসি কাজ না করায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট আকাশে উড্ডয়নের ২০ মিনিট পরে আবারো ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের পর যাত্রীদের আবারো ঢাকায় নামিয়ে দেয় বিমানটি। এ ঘটনার ১ ঘণ্টার পর যাত্রীদের বিকল্প আরেকটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সেই প্লেনটির এসি সংস্কারের জন্য হ্যাঙ্গারে পাঠানো হয়েছে।
সম্রাট নামে এক যাত্রী জানান, ‘বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা থেকে চিটাগাং যাচ্ছি, এসি চলতেছে না। সবাই ঘেমে যাচ্ছিল। বিমান ছাড়ার আগে এসি না চলার একাধিক অভিযোগের জবাবে পাইলট সরি বলে বক্তব্য শুরু করল। এরপর বলেন, বিমান উড়া শুরু করলে ঠাণ্ডা বাতাস শুরু হবে। বিরক্ত হয়ে এইরকম একটা সার্ভিসে ২০ মিনিট এসি-ফ্যান ছাড়া বসিয়ে রাখার কারণ জানতে আমি এয়ারহোস্টেসের সাথে কথা বলছি!’
তিনি আরো জানান, ‘পুরো পথে এসি নষ্ট ছিল। পাইলট কয়েকবার সরি বলে ঘোষণা দিয়েছে, কেবিন ক্রুদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। মানুষের প্রশ্নবাণে তারা তটস্থ। আমাদের ৩০ মিনিট আকাশ ঘুরিয়ে আবার ঢাকায় নামিয়ে দিয়েছে।’
পরে অবশ্য খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিকল্প ফ্লাইটে চট্টগ্রাম নিয়ে গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে যাত্রীদের বলা হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে। এরপর তাদের এক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে সকাল পৌনে দশটায় বিকল্প ফ্লাইটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিমানের একটি ফ্লাইট। এই ফ্লাইটের কারণে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানের অন্যান্য ফ্লাইটগুলো দেরিতে ছেড়েছে।
দীপক চৌধুরী নামে এক যাত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যাপক হাঁকডাক করে বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল বানানো হচ্ছে! অথচ, নূন্যতম চাহিদার এয়ারক্রাফট নাই, ক্রু নাই! চাহিদার উপযোগী রানওয়ে নাই! এয়ার ট্রাফিক অসহনীয় হলে বিদেশিরা কি আসবে? সেই ভাবনাও নাই! এয়ারপোর্টের পরিচ্ছন্নতা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার কথা তো বাদই দিলাম।
এদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের ২১টি বিমান রয়েছে। তার মধ্যে ৫টি এয়ারক্রাফট দিয়ে তারা অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীসেবা দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২টি ফ্লাইট তারা পরিচালনা করেন।
২০২২ সালে বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইটে এমন কয়েকটি ঘটনার জেরে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তখন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে ওঠে বিমানের সংশ্লিষ্টরা। এরপর আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে শুরু করেছে। ফলে বিমানের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন যাত্রীরা।