সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মহানগর ডিবি প্রধান বলেন, আমাদের ডিবি লালবাগ বিভাগ মামলাটির তদন্ত করছে। ভারতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দুই দেশের উদ্দেশ্য অভিন্ন। মামলার তদন্তে আমরা আসামিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতে গ্রেফতার আসামির সঙ্গে কথা বলেছি, বাংলাদেশে গ্রেফতার মূল ঘাতক শিমুলসহ অন্যরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা মনে করেছি, ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনেছি, রিমান্ডে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডটি ভারতে যারা ঘটিয়েছেন, মোটা দাগে তারা সবাই বাংলাদেশি। হত্যাকাণ্ডের পর তারা সবাই বাংলাদেশে এসেছেন। এসে হত্যাকাণ্ডের ছবি বা বিভিন্ন বিষয়গুলো বিভিন্নজনের কাছে শেয়ার করেছেন কি-না তা তদন্ত করছি। ছবি বা তথ্য শেয়ার করে আর্থিকভাবে তারা লাভবান হয়েছেন কি-না এবং কাদের কাছ থেকে লাভবান হয়েছেন সবগুলো বিষয় আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি।
হত্যাকাণ্ডে দুই কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো আমরাও শুনেছি।
ডিবি প্রধান বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী যিনি শাহীন, তিনি ঢাকা থেকে দিল্লি, কাঠমান্ডু-দুবাই হয়ে আমেরিকায় চলে গেছেন। তাকে ধরতে না পারলেও বাকি আসামিদের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি, অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। একজন ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, একজন কাঠমান্ডুতে। কাঠমান্ডুতে গ্রেপ্তার সিয়াম বর্তমানে ভারতে আছেন। বাংলাদেশে গ্রেফতার তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহীনের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার মূল পার্ট ভারতে তদন্ত হচ্ছে। সিয়াম যেহেতু আনারকে হত্যা করে পৈশাচিক কায়দায় গুম করার উদ্দেশ্যে ও আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ঠান্ডা মাথায় আনারের বিভিন্ন দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছেন। তাই তিনি ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাকে নিয়ে কাজ করছে। আমরা শুনেছি কিছু জায়গা থেকে দেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করবো।