বীজ সরবরাহে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । এজন্য আমদানি না করে দেশেই শতভাগ বীজ উৎপাদন করার মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় বাংলাদেশ। প্রতিবছর বিদেশে থেকে বীজ আমদানি করতে হয় বাংলাদেশকে। এতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চলে যায়। যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। এজন্যে কম জমিতে অধিক ফলন ফলানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ। শেরেবাংলা নগরের সেচ ভবনে বিএডিসি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (এজঝ) গণশুনানি বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণমূলক গণশুনানী-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসির সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) মো. আব্দুস সামাদ, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্রসেচ) মো. মজিবর রহমান, সদস্য পরিচালক (অর্থ) মো. আশরাফুজ্জামান, বিএডিসির সচিব মেরিনা সারমীন। উপস্থিত ছিলেন, মহাব্যবস্থাপক( এএসসি) ওবায়দুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (সার বিভাগ) মো. ফখরুল হাসান, মহাব্যবস্থাপক উদান বিভাগ, মো. জামিনুর রহমান, প্রধান মনিটরিং বিভাগ মো. আ. ছাত্তার গাজী, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক খামার মো. আজিম উদ্দিন অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক ড. মো. ইশরাক, দেবদাস সাহা প্রমুখ। গণশুনানিতে কৃষক, ডিলার ও আমদানি ও রপ্তানি কারকসহ প্রায় ৩০০ জন অংশ নেন। গণ শুনানিতে অংশ নিয়েছেন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন উদ্যোক্তা সাহিদা বেগম। তিনি বলেন, বিএডিসির সহযোগিতা পেলে প্রতিবছর তার পক্ষে প্রয়োজনীয় বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। মানিকগঞ্জের ডিলার মোশাররফ হোসেন বলেন বিএডিসির বীজ ভাল। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকের কাছে এ বীজের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় কৃষকরা তা হাতের নাগালে পাচ্ছেন না ফলে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যে বেসরকারি আমদানিকারকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে যা তাদের জন্য ব্যয়বহুল।