রাজনীতির ৪৩ বছরে দ্বিতীয় বারের মত আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার মাদারীপুরের কালকিনিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায়। ভাষণ দিবেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমনকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কালকিনি আগমন উপলক্ষে বর্ধিতসভা ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন মাদারীপুর – ৩ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী আবদুর সোবাহান মিয়া গোলাপ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর – ২ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান। কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়ার সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন মাস্টার,সাবেক পৌর প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ,কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সরদার মোঃ লোকমান হোসেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদকবৃন্দ। নেতাকর্মীরা বলছেন, সভায় জমায়েত হবে কমপক্ষে লক্ষাধিক মানুষ। জনসভাকে ঘিরে ৬ স্থরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে ৫ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য। সেই মোতাবেক প্রস্তুত প্রশাসনও। জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নেতাকর্মীরা, আনন্দে আত্মহারা সাধারণ মানুষ। জনসভা সফল করতে এরইমধ্যে বর্ধিতসভা করেছে আওয়ামী লীগ। দফায় দফায় সভাস্থল পরিদর্শণ করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৩ টা ১০ মিনিটের সময় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। টানা তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় উপকারভোগীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। সবার মুখে উন্নয়নের সুর। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই উপজেলা বাসীর। পদ্মা সেতু নির্মানের পর এই জনসভা দক্ষিনাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তণে আরো ভুমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। দলীয় সূত্র জানাযায়, মাদারীপুর সদরের একাংশ, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-০৩ সংসদীয় আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যও। ২য় বারের মতো কালকিনির এই মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনে আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের টার্গেট রেখে তৈরী হচ্ছে জনসভার মাঠ। প্রস্তুত নেতাকর্মীরাও। বিগতদিনে বিপুল ভোটে নৌকা যেভাবে জিতেছে, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নৌকার ভোট, আরো বেগমান হবে বলে আশ্বাস নেতাকর্মিদের। প্রথমবারের মতো কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এতে সবাই খুশি ও আনন্দিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। লক্ষাধিক জনগন যাতে, এখানে উপস্থিত হয়, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সব জায়গায় জনসভা করতে পারেন নি। তাই কালকিনিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে দলবেঁধে মানুষ এখানে আসবে। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ৬ স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। সাদা পোশাকের পাশাপাশি থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবে। আশা করছি, জনসভা ঘিরে কোথায় কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হবে না।