কুষ্টিয়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজাকে ৪ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া। আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকাল ৫ টার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার ৪ দফা দাবীসমূহঃ
১. নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আগ্রহী সাংবাদিকদের আবেদন এনএসআই, ডিজিএফআই ও ডিএসবি’র মাধ্যমে তদন্ত করা। ২. নাশকতাসহ ফৌজদারি মামলার আসামীদের নির্বাচন কমিশনের কার্ড প্রদান থেকে বিরত রাখা। ৩. নির্বাচন বিরোধী বিএনপি জামায়াতের পদধারী কথিত সাংবাদিকদের কার্ড প্রদান না করা। এবং ৪. ভারতে পলাতক শীর্ষ প্রতারক মনজুর এহসান চৌধুরী ওরফে মিঠু চৌধুরীর কুষ্টিয়াস্থ ইউনিপেটুইউ এর কার্যালয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহনসহ নির্বাচন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী সাংবাদিকতার লেবাসে যাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জেইউকে’র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে’র সদস্য জাহিদুজ্জামান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার কোষাধ্যক্ষ ইমরান হাসান পাপ্পু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চাঁদ আলী, সদস্য এএইচএম বেলাল, কেএম শাহীন রেজা, নাসির উদ্দিন প্রমুখ।স্মারকলিপিতে উল্লেখ রয়েছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাংলে ৭ বছরের জেল, সাংবাদিকরা ভোট কেন্দ্রে অবাধে যেতে পারবে। মুলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এর চেয়ে বড় সুসংবাদ আর হতে পারে না। মিডিয়াবান্ধব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে কুষ্টিয়ায় জামায়াত-বিএনপি ও ইউনিপেটুইউ’র মালিকানাধীন সংবাদপত্র ও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত জামায়াত-বিএনপি’র পদধারী দলকানা কথিত সাংবাদিকরা একের পর এক মিথ্যাচারে লিপ্ত। এতে মুলধারার সাংবাদিকতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পলাতক ভূয়া এমএলএম কোম্পানি ইউনিপেটুইউ এর প্রধান মনজুর এহসান চৌধুরী ওরফে মিঠু চৌধুরীর কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটের অফিসে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন বৈঠক করে। এখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে কুষ্টিয়া জেলায় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে। সাংবাদিক নামধারী দুর্বৃত্তরা নিজেরায় ক্যামেরা ভেঙে অভিযোগ দিবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ভোটের দিন গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরী করেছে।