আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গতানুগতিক কর্মসূচি অবরোধ আর হরতাল বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি। বিএনপির আন্দোলনকে আমরা পাত্তা দিচ্ছি না।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেদিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদত ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমূখ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট।

তিনি বলেন, মানবাধিকারের কথা বলতে হলে ফিলিস্তিনের কথা বলতে হবে। ১৮ হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে, এখনো চলছে। অথচ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইসরায়েলের পক্ষে একমাত্র সমর্থন দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ থেকে আবারো প্রমাণ হলো ইসরায়েল নামের দুষ্টু ছেলে আমেরিকারই সন্তান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এই নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই হত্যার বিচার অনেকদিন পর্যন্ত পাই নি। জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে পক্ষশক্তিকে শেষ করে দিতে এই হত্যাকান্ড।

তিনি বলেন, জিয়ার পর খালেদা জিয়াও গুম খুনের রাজনীতি করেছেন। জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তারপরও বিএনপির লজ্জা নেই। এদেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

এসময় শরিকদের সঙ্গে আসনবন্টন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে।