আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধার ৫টি আসনে ৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া প্রয়াত ডেপুটি স্পিকারের মেয়ে বিচারপতি খোরশেদ আলাম সরকারের স্ত্রী ফারজানা রাব্বী বুবলিও রয়েছেন। ঘোষিত তফশীল মোতাবেক সোমবার রাত ৮টায় জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা করেন। এর আগে রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করার সময় ১ শতাংশ ভোটারের ক্রটিপুর্ণ স্বাক্ষর, ঋণ খেলাপি, তথ্য গোপনসহ নানা কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিচারপতি খোরশেদ আলাম সরকারের স্ত্রী ফারজানা রাব্বী বুবলিসহ ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা বাতিলের ঘোষণা দেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন কাগজপত্র দাখিলের জন্য সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় প্রার্থণা করেন। সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় তাদের কাগজপত্র দাখিল ও শুনানির দিন নির্ধারণ করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা । কিন্তু ফারজানা রাব্বী বুবলি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রবিবার রাতেই উপস্থাপন করেন। তার কাগজপত্র দ্বিতীয় দফা যাচাই-বাছাই করে হলফনামায় উল্লিখিত সম্পদ বাড়ি ভাড়া থেকে বার্ষিক আয় ১২ লাখ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার ১ শত ৮৮ টাকা ৯১ পয়সা ও গাড়ি(টয়োটা নোয়া) ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ সর্বোমোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৮ টাকা ৯১ পয়সা উল্লেখ করলেও তার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন নি। হলফনামায় উল্লিখিত সম্পদ বিবরণীর সাথে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত সম্পদের মিল না পাওয়ায় রবিবার রাতেই জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারজানা রাব্বী বুবলির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এসময় তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালিব বলেন, সময় প্রর্থনা করা ১৬ জন প্রার্থী সোমবার কাগজপত্র দাখিল করলে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ১ শতাংশ ভোটারের তালিকা ত্রুটিপূর্ণ, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা হয়েও হলফনামায় তা উল্লেখ না করাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন মোস্তফা মহসিন সরদার (স্বতন্ত্র), এবিএম মিজানুর রহমান (স্বতন্ত্র), শরিফুল ইসলাম (গণফ্রন্ট), মো. হাফিজার রহমান সরদার (খেলাফত আন্দোলন) ও আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র)। গাইবান্ধা-২(সদর) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন শাহ সারোয়ার কবীর (স্বতন্ত্র), সাজেদুর রহমান (স্বতন্ত্র), রফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মাছুমা আকতার (স্বতন্ত্র), আবু তাহের সায়াদ চৌধুরী (কৃষক শ্রমিক জনতালীগ)। গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (জাসদ), আবু জাফর তৈয়দ জাহিদ (স্বতন্ত্র)। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), ডা. রুমি আকরাম (এনপিপি), শ্যামলেন্দু মোহন রায় জিবু(স্বতন্ত্র)। গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন এইচএম এরশাদ(স্বতন্ত্র), ফারজানা রাব্বী বুবলী।