গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় শিক্ষক সংকটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। ৩৭টি প্রধান শিক্ষকের পদসহ মোট ১০৯ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। জানাগেছে, কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ১৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। সহকারি শিক্ষক দিয়ে কোন মতে প্রধান শিক্ষকের কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ও নিয়ম না মানার অভিযোগ রয়েছে। ৫৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে ৫৬ জন সহকারি শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার পরও ৩৭ টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলার মোট ১৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭২ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যে কারণে কাশিয়ানীতে ব্যাধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে মোট ১৭১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭১ জন প্রধান শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষকের পদগুলি শূন্য রয়েছে। চলতি দ্বায়িত্ব দিয়ে ৫৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূণ্যপদ পুরোন করার পর বর্তমানে ৩৭ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তাছাড়া ৭৭ টি সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারণে ওই সব বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে। এ সব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদগুলি শূন্য থাকার ফলে সরকারের বধ্যতামুলক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা। শিক্ষক সংকট থাকার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমের উন্নয়ন,ঝরেপড়া রোধে উঠান বৈঠক করা এবং ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে তাদের বিদ্যালয় মূখী করে তোলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাস এ প্রতিবেদককে জানান, খুব তাড়াতাড়ী নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। নতুন শিক্ষক নিয়োগের ফলে এবং ৫৬ টি বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকদের থেকে প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দ্বায়িত্ব দেবার কারণে শূন্যতা অনেকটাই পূর্ণ হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান বেশ সন্তোষজনক। উপজেলা ১৭১ টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক এবং ৭২ টি সহকারি শিক্ষকদের পদগুলি পূর্ণ হলে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করা যাবে। তিনি আরো জানান, শিক্ষক শুন্যতার বিষয়টি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় আমি লিখিত ভাবে জানিয়েছি।