গোবিন্দগঞ্জে আমন ধান কাটার পরই ভাল দাম পাওয়ার আশায় ফাঁকা জামিতে এলাকার কৃষকরা শুরু করেছেন আগাম জাতের আলুর চাষ। বীজসহ উপকরণ মূল্য বৃদ্ধির কারণে আলুর উৎপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। তবে উৎপাদিত আলুর বাজার দর ভালো পাবেন এই আশা করছেন আলু চাষিরা। অধিক ধান উৎপাদনকারী উপজেলা হিসেবে পরিচিতি জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা চলতি বছরেও অনেক জমিতে আগাম জাতের রোপা আমন ধান চাষ করেন। এসব জমির রোপা আমন ধান কাটার পর ফাঁকা হওয়া জমিতে আবার শুরু করেন আগাম জাতের আলু আবাদ। গ্রানোলা, হীরা, খুপরি সেন্দুরী, লাল পাকরি, ফাকা পাকরি, সূর্যমূখী, আরিন্দা, রাজা, ডায়ামন্ড ও কার্ডিনালসহ নানা জাতের আলু রোপন করা হচ্ছে। ভাল দামের আশায় আলু চাষ বেড়েছে। কিন্তু বীজ সংরক্ষণ না থাকায় অনেক কৃষক চড়া দামে বীজ কিনে আলু চাষ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ইতোমধ্যে ৫শ হেক্টর আগাম জাতের আলু লাগানো হয়েছে। গোন্দিগঞ্জে উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা মাহমুদ বলেন, আলু দাম ভালো পাওয়ায় এবার আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক। চাষিরা আলু চাষে যাতে কোন ভাবে ক্ষতির শিকার না হয় এজন্য তাদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।