আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২, (সালথা ও নগরকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য, কৃষি গবেষক ও কলামিষ্ট শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে আবারও নৌকার মাঝি হিসেবে পেতে চান আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। জানা যায়, এই আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন এমপি হিসেবে ছিলেন। তিনি এই এলাকার উন্নয়নের প্রথম রুপকার। তাঁর প্রচেষ্টায় সালথা-নগরকান্দা নগরে পরিনত হয়েছে। এই অঞ্চলের স্কুল-কলেজ, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ ও কালভার্টসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম রয়েছে। ২০২২ সালে ১১ সেপ্টেম্বার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে এই আসনটি শুণ্য হয়ে পড়লে ৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপ-নির্বাচনে সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। নৌকা প্রতীক নিয়ে এই আসনে লাবু চৌধুরী বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়। উপ-নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরেই মায়ের মতো সালথা-নগরকান্দার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। আগামীতেও এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাবু চৌধুরীকে আবারও এমপি হিসেবে পেতে চান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মরহুমা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে দাবী করেছেন ফরিদপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবী লাবু চৌধুরীর নেতৃত্বে সালথা-নগরকান্দার আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত আছে এবং থাকবে। লাবু চৌধুরীর প্রচেষ্টায় এই এলাকার সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে এবং ভবিষ্যতেও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবী। প্রয়াত সংসদ উপনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সাথে বিগত চল্লিশ বছর সালথা-নগরকান্দায় কাজ করেছেন শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী এমপি। এই আসনের সকল ক্ষেত্রে সুখ-দঃখের সাথী লাবু চৌধুরী। এ কারণেই আমরা তাকে আবারও এমপি হিসেবে দেখতে চাই। আর যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে এই এলাকায় প্রতিনিধিত্ব করতে হলে দায়িত্বশীলতার সাথে জনগনের প্রত্যাশা পূরণে একজন বিবেকবান, সচেতন, শিক্ষিত ও মার্জিত নির্লোভ, নিরঅহংকার ব্যাক্তির প্রয়োজন। এইসব গুণাবলী একমাত্র লাবু চৌধুরীর মধ্যেই আছে। তাকে দিয়েই সালথা-নগরকান্দার গণমানুষের কল্যাণ সম্ভাব বলে জানান সালথা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সেলিম মোল্যা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল ও শ্রমিকলীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুর রহমান শাহীনসহ আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান সুইট ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান তালুকদার পথিক বলেন, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, ফরিদপুর-২, আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এই সালথা-নগরকান্দাকে অন্দকার থেকে আলোর মুখ দেখিয়েছেন। সেই প্রিয় নেত্রীর মৃত্যুর পর বর্তমান এমপি লাবু চৌধুরী যেভাবে মানুষকে মুল্যায়ন করছে, আমাদের মনে হয় না, অন্য কেউ সেরকম মুল্যায়ন করবে। অন্যরা যার যার আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। জনগণের কল্যাণে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বাইরে কোন নেতা দেখছি না, এমনকি তার সমকক্ষ বা কাছাকাছি কোন নেতা নাই। আমরা লাবু চৌধুরীর মাঝে সাজেদা চৌধুরীর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমরা বিশ^াস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে সাজেদা চৌধুরীকে মুল্যায়ন করেছেন। সেভাবেই এমপি লাবু চৌধুরীকে ফেলাবেন না, আবারও দলের নমিনেশন দিয়ে তাকে মুল্যায়ন করবেন। সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, ফরিদপুর-২, আসনে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে চাই। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার যোগ্য উত্তসুরী হিসেবে লাবু চৌধুরীই একমাত্র কান্ডারী। লাবু চৌধুরীকে আবারও দলের মনোনয়ন দিলে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সঠিক মুল্যায়ন পাবে। শুধু তাই নয় একমাত্র লাবু চৌধুরীই আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান মিয়া বলেন, রাজনীতির শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সাথে রাজনীতি করি। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। প্রয়াত নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান লাবু চৌধুরীকে আবারও দলের মনোনয়ন দিলে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, এলাকার জনসাধারণ ও নেতাকর্মীরা লাবু চৌধুরীকেই নৌকার মাঝি হিসেবে চান। আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফরিদপুর-২, আসনের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে দলের মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানাই। লাবু চৌধুরীকে আবারও মনোনয়ন দিলে, তার নেতৃত্বে সালথা-নগরকান্দার আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত থাকবে এবং মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সোবান মিয়া বলেন, বর্ষিয়ান নেত্রী, উন্নয়নের রুপকার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জন্যই অবহেলিত সালথা-নগরকান্দায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তাঁর ছেলে লাবু চৌধুরীর মাঝেই তাঁকে খুজে পাই। লাবু চৌধুরী দীর্ঘদিন তার মায়ের সাথে এই এলাকার সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করেছেন। লাবু চৌধুরীর বলিষ্ট নেতৃত্বে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সুনাম ধরে রাখার জন্য এবং এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের সেবা করার জন্য লাবু চৌধুরীর বিকল্প কেউ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহব্বান, ফরিদপুর-২ আসনে লাবু চৌধুরীকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হবো এবং জয়লাভ করবো। সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ উপনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রতিচ্ছবি তার পুত্র ফরিদপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। প্রিয় নেতা লাবু চৌধুরীর আচার-ব্যবহারে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণ সন্তুষ্ট। মায়ের মতো সব সময় সাধারণ মানুষের কথাই ভাবেন তিনি। তাই এলাকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও জনগণের কল্যাণে লাবু চৌধুরীর কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ফরিদপুর-২ আসনে লাবু চৌধুরীকে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিবেন বলে আশাবাদী। নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান সরদার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেই সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। দুর্দিনে সাজেদা চৌধুরী দলের হাল ধরেছেন। শুধু সালথা-নগরকান্দার নেত্রী ছিলেন না তিনি। প্রধানমন্ত্রীর পরেই সারাদেশের নেত্রী ছিলেন তিনি। তখন থেকেই সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী সালথা-নগরকান্দায় মায়ের সাথে কাজ করে আসছেন। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর ফরিদপুর-২ আসন শুণ্য হয়ে পড়ে। তখন উপনির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা লাবু চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন। এরপর তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে ফরিদপুর-২ আসনের মানুষের জন্য কাজ করছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২, আসনের লাবু চৌধুরীকে আবারও এমপি হিসেবে পেতে চাই। ফরিদপুর-২ আসনের এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, আমার মা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সালথা-নগরকান্দার উন্নয়নের জন্য যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু চাইতেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বলতেন আমার ফুফু যা চায় তাই দিয়ে দেও। এভাবেই কিন্তু এই এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। আমার মায়ের সাথে ৮৬ সাল থেকে মানুষের সুখে-দুখে পাশে আছি। আমার চলে যাওয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপ-নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ছিলেন। সেজন্য ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমি কাজ করে আসছি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন এর জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন। তাঁর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। আমি আশা করি, আমি বিশ^াস করি, আমি আবারও মুল্যায়িত হবো। আমি মুল্যায়িত হয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।