ঝালকাঠি শহরে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিলের মহড়াকালে যুবলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে, শহর জুড়ে আতংক তৈরি হয় সকাল নয়টায় শহরের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ উভয় গ্রুপের চারজন আহত হয়েছে। এসময় ৮/১০টি মটোরসাইকেল ভাংচুরসহ ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মিলনসহ তিনজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও এক যুবলীগ কর্মীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, যুবলীগ কর্মী মো. সাগর ও অপর গ্রুপের যুবলীগ কর্মী মামুন হোসেন ওরফে কঠিন মামুন। ঘটনার পর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ টহল দিচ্ছে। ঘটনার পর জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির জানায়, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিল হওয়ার কথা। তবে সৈয়দ মিলনের সমর্থকরা তাদের পৃথক ভাবে মহড়া নিয়ে পিছন দিক থেকে দুইজন সেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর উপর মোটর সাইকেল উঠিয়ে দেয়। এতে তারা আহত হলে নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে সৈয়দ মিলনের সমর্থক আহত সরকারী কলেজ লীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু ও মো: সাগর জানায়, তারা অবরোধ বিরোধী মটরসাইকেল মহড়া দেয়ার সময় পোস্ট অফিস সড়কে পৌছলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, যুবলীগ আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির ও কাউন্সিলর কামাল শরীফের নেতৃত্বে তাদের অনুসারিরা হামলা চালিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে। তাদের সাথে থাকা ৮/১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।