১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এড. সৈয়দ এহসানুল হুদা কে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। রবিবার দুপুরে এহসানুল হুদাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ১২ দলীয় জোট, বিএনপি, জামায়াতসহ সরকার বিরোধী সমমনা দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার অভিযানে নেমেছে। শুধু তাই নয়! সরকার দেশকে নেতা এবং নেতৃত্ব শূণ্য করার গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে । আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের অশুভ উদ্দেশ্যকে চূড়ান্ত করতে গণগ্রেফতার ও রিমান্ডে নির্যাতন নিয়ে চালানো হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তরুন, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক এবং দেশের ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়! দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ নয়! আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী কায়দায় আবারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা সহ সকল রাজবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারকে দ্রুত পদত্যাগ করে। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় সারাদেশ অচল করে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করা হবে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম।