চট্টগ্রামের হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়কের মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ইজতমা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা তিন শিশুসহ সাতজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার রেলা পৌনে বারোটার দিকে চট্টগ্রামগামী বাস (নং চট্টমেট্টো -ব-১১-১৮০৮) সিএনজি চালিত অটো রিক্সার সাথে( নং চট্টগ্রাম-থ- ১৩-০২১৮) মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোয়েব আহম্মদ খাঁন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম মসিউজ্জামান, ওসি মো মনিরুজ্জান, হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোঃ আদিল মাহমুদ, ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান ঘটনাস্হল ছুটে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একটি সিএনজি১ চালিত আটো রিক্সা করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রাম থেকে চিনু রানী দাশ (৪৫)স্বামী সচিন্দ্র দাশ শুভ দাশ( ২৭) পিতা সচিন্দ্র দাশ, রীতা রানী দাশ মায়া (৩৪), নারায়ন দাশ, শ্রাবন্তি দাশ (১৮) পিতা নারায়ন দাশ বর্ষা দাশ (৮) পিতা নারায়ন দাশ, ও দুই জমজ বোন যথাক্রমে দ্বীপ দাশ ও দিগন্ত দাশ (৪) পিতা নারায়ন দাশ ও বাপ্পা দাশ (৩১) পিতা সচিন্দ্র দাশ, সর্ব সাং সাতবাড়িয়া, উপজেলা চন্দনাইশ, গাড়ি চালক বিপ্লব মজুমদার (২৮) পিতা নেপাল মজুমদার, সাং বৈদ্যারহাট ফটিকছড়ি। ফটিকছড়ি উপজেলার শাহ নগর গ্রামে মনোমোহন কবিরাজ বাড়ির তাদের এক আত্মীয় কনক লতা দাশের সাপ্তাহিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। তাদের বহনকারী সিএনজি চালিত অটো রিক্সা মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া ইজতমা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে চট্টগ্রামগ্রাম শহরগামী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ ঘটনা স্হলে উপরোল্লিত সাত জন ঘটনাস্হলে মারা যায়। উপস্থিত লোকজন আহত বাপ্পা ও সিএনজি চালক বিপ্লবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে চালকের অবস্হা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। দূর্ঘটনার কারনে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার সড়কে যানযট সৃষ্টি হয়। এই সময় যাত্রী চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক দূর্ঘটনা নিহতদের রিতা দাশের মা ছবি দাশের আহাজারীতে এলাকায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সড়ক দূর্ঘটনা আহত বাপ্পা দাশের সাথে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা হয়, তিনি বলেন আমরা চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয় গ্রাম থেকে আমাদের এক আত্মিয়ের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে ফটিকছড়ি শাহ নগর গ্রামে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে উক্ত স্হানে পৌঁছলে চট্টগ্রামগামী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। পরে আমার জ্ঞান ফিরলে আমি নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পাই। উল্লেখ্য বিগত ১২/ ১৩ বছর পূর্বে একই মহাসড়কের মুন্সির মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৫ নিহত হয়ে ছিল। দূর্ঘটনা স্থলে অনেকে গনমাধ্যম কর্মীদের আক্ষেপ করে বলেছে মহাসড়কে ডিভাইডার না থাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন।