পটুয়াখালী-১ ( সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফজাল। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। এদিন ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন শেষ সময় পর্যন্ত আর কোনো প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম। রিটার্নিং অফিসার ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন,‘ বিকাল ৪টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া কেউ মনোনয়ন কেনেনি এবং মনোনয়ন জমাও দেননি।’ পটুয়াখালী-১ শূন্য হওয়া আসনটিতে গত ২৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে সে অনুযায়ী ১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ২ নভেম্বর বাছাই, ৯ নভেম্বর প্রত্যাহার এবং ১০ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং আগামী ২৬ নভেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া কেউ মনোনয়নপত্র কেনেননি এবং মনোনয়নপত্র জমাও দেননি। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন অ্যাড. আফজাল হোসেন। এদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান প্রমুখ। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন,‘ আমি দীর্ঘদিন পটুয়াখালী-১ আসন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ আসনের প্রতিটি এলাকায় আমার পদচারণা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা। হয়তো সংসদে বসার সুযোগ হবে না তবুও নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত লাখবো। এলাকায় যে উন্নয়ন কাজ চলছে তা এগিয়ে নিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো। উল্লেখ্য, পটুয়াখালী-১ আসনটি সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া গত ২১ অক্টোবর মারা যাওয়ার পর এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এদিকে বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। আগামী জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে কারণে এ আসনে উপনির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি শপথ গ্রহণ করলেও সংসদে বসার সুযোগ পাবেন না।