সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে র্যাব-পুলিশ। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশের দুই দিন আগে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, ঢাকার প্রবেশ মুখ আমিনবাজার, ধামরাই ইসলামপুরসহ একাধিক স্থানে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে জোর তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ- র্যাব। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর প্রবেশদ্বার আমিনবাজার চেকপোস্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ সময় গাড়ির ভিতরে উঠে জিজ্ঞাবাদসহ সন্দেজনক ব্যক্তি এবং তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও ডায়েরি তল্লাশি করছে পুলিশ। এসময় পুলিশ যাত্রীদের কাছে তারা কোথা থেকে এসেছেন, কোথায় যেতে চান, তাদের পেশাগত পরিচয়— এমন অনেক ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চায়। অনেকের পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখা হয়। এ সময় চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও মালামাল তল্লাশির কারণে সেখানে যানবাহন চলাচলে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে দুপুরের পর পুলিশের চেকপোস্ট কার্যক্রমে শিথিলতা দেখা গেছে। আমিনবাজার চেকপোস্টে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম ও সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাসহ পুলিশের আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনবাজার চেকপোস্টে থাকা ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৮ তারিখে যেহেতু রাজধানীতে দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ আছে, সেহেতু কেউ যেন ঢাকায় প্রবেশ করে কোনো নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকাল থেকেই ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪) ও ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় চেকপোস্টে যানবাহনের ফিটনেস, বৈধ লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি কার্যক্রমের বিষয়ে র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর স্কোয়াড কমান্ডার (এএসপি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ। যানবাহনের ফিটনেস, লাইসেন্স ও মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট যাদের নেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আহমেদ শাহিন নামে একজন যাত্রী কালবেলাকে জানান, আমরা সাধারণ মানুষ। জরুরি কাজে বের হয়েছি। এখানে তল্লাশি করে সময় নষ্ট করছে। অনেক ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে যেটা মোটেও ঠিক নয়। আমি কোনো রাজনীতি করি না। এভাবে তল্লাশির নামে ঢালাওভাবে সবার সময় নষ্ট করা উচিত নয়। সামনে নির্বাচনকে সামনে রেখে তল্লাশির নামে যাতে সাধারণ মানুষের হয়রানি না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।