মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় দেশি ও বিদেশি মদ খেয়ে সাগরিকা আহম্মেদ (২০) ও পারুল আক্তার রুপা (২০) নামের দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩ জন। গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত আড়াই টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার লুৎফর মোল্লার বাসার ৪ তলায় এ ঘটনা ঘটেছে। মারা যাওয়া দুইজন সম্পর্কে বান্ধবী। নিহত সাগরিকা মাদারীপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকার কেএইচ শাকিল আহম্মেদের মেয়ে ও বটতলা এলাকার মজিবুর রহমানের স্ত্রী এবং পারুল আক্তার রুপা ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার মালেক মাতুব্বরের মেয়ে ও বালিগাঁও এলাকার ইয়াদ আলী মাতুব্বরের স্ত্রী। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। জানা যায়, চলতি বছরের ১ অক্টোবর কলেজ রোড এলাকায় লুৎফর রহমান মোল্লার বাড়িতে মা পান্না বেগম, মেয়ে সাগরিকা আক্তার ও মামা মো. বাবু মিয়া ওই বাসায় ভাড়া ওঠে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) গভীর রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার রুমে ছুটে গিয়ে ফ্লোরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সাগরিকা আহম্মেদ ও তার বান্ধবী পারুল আক্তার রুপাকে। অসুস্থ অবস্থায় সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন (৪৫), মামা মো. বাবু (৪০) ও ডালিয়াকে (৪২) উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নিহত সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন এবং মামা মো. বাবু জানায়, সাগরিকার বান্ধবী পারুলসহ কয়েকজন মেয়ে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। রাতে আমরা সবাই দেশি ও বিদেশি মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে জেগে দেখি মেয়ে সাগরিকা ও তার বান্ধবী পারুল মারা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানায়, শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ওই বাসায় অপরিচিত ৩ থেকে ৪ জন নারীকে ঢুকতে দেখি। এই ঘটনার পর অন্য নারীদের আর দেখা যায়নি। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রিয়াদ মাহমুদ জানায়, দুইজন নারীকে মৃত অবস্থায় এখানে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।