বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ চার জন নিহত হয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিরা জানান:
দিনাজপুর:
বিরামপুর শহরের কলেজ বাজার পেট্রোল পাম্পের কাছে বরযাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে সদ্য বিবাহিত এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজশাহীতে মামলার সাক্ষ্য দিয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম (৩৮) ও তার বন্ধু মোনাইম হোসেন সুজন (৩৮) মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। বিরামপুর কলেজ বাজার পেট্রোল পাম্পের কাছে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরযাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত দুই বন্ধুকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজীপুর:
কাপাসিয়া-টোক সড়কের জলপাইতলা বাজারের পাশে বুধবার সকালে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলচালক নুরুল আমিন (৩২) নিহত হন। নুরুল আমিন টোকনগর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে এবং পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলার কোচের চর এলাকার মাদ্রাসা শিক্ষক ছিলেন। থানার ওসি এ এইচ এম লুৎফুল কবির জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বাসের সংঘর্ষে পিকআপচালক নজরুল ইসলাম (৩৫) নিহত হয়েছেন। আহত হন আরো তিন জন। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার আমতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম শরিয়তপুর সদর উপজেলা কেয়ারপুর গ্রামের সিরাজুল হক খানের ছেলে। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, কালীগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাস যশোর যাচ্ছিল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপ ভ্যানের চালক নজরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।