ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া টোল ভিটের পাকা রাস্তা থেকে শুরু করে নরকোনা হয়ে মেগচামী সড়কটি বেহাল দশার কারণে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি অনেক আগে সংস্কার করা হয়েছিল। এরই মধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানের পাথর ও পিচ উঠে কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ইটের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আড়পাড়া ও মেগচামী ইউনিয়নের শান্তিপুর ও নরকোনা সড়কটি কয়েক বছর আগে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পাকা করণের কাজ করেছিল। বর্তমান সংস্কারের অভাবে সড়কের বিভিন্ন স্থানের পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে মনে হচ্ছে এটি পাকা সড়ক নয়, কাঁচা সড়ক ও পানির গর্ত তারপরও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোকজন সহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা। বৃস্টি হলে গর্তের ভিতর পানি জমে আরও ঝুকি আরু চরম আকার ধারন করে। তাই স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কিছু অংশে ইট থাকলেও একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। স্থানীয়রা জানান, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরাবস্থাপূর্ণ সড়ক পুরো উপজেলায় আর নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামতের জন্য অনুরোধ জানান । তারা আরও জানান, এ সড়কটি যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতে অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পথচারীরা জানান, সড়কটির এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন না চলায় তাদের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। অন্য সড়ক দিয়ে অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে বলে সময়ও লাগছে বেশি। এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারণ তাদের দীর্ঘ ভাঙা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারণে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মতো শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না। তা ছাড়া এই রাস্তার পাশে কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে যেখানে ২৪ ঘন্টা গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা ও ডেলিভারী করানো হয় এই মেগচামী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে । যার দরুন রাস্তা পাকা করন একান্ত প্রয়োজন। ওই সড়কে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, সড়কটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙে গেছে। যার কারণে স্কুলে যেতে খুবই কষ্ট হয়। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় সরকারের নিকট জনসাধারনের জোরালো দাবী অচিরেই রাস্তা সংস্কার ও ইটের রাস্তা ভেঙ্গে পাকা রাস্তা করা হোক।