
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী প্রায় সময় নেশায় মত্ত থাকেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানী, নারী কেলেংকারীসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ সব কারণে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ তাকে এখান থেকে অপসারনের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী বেগমগঞ্জে যোগদান করার পর থেকেই নেশাগ্রস্ত থাকাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে গত ৮-৮-২০২৩ইং তারিখে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে ডিও লেটার দেন। যার নং-ডিও নং-জাসএমপি/২৭০-নোয়াখালী-০৩/২০২৩/১৩০। অনিয়ম, দূর্নীতির পাশাপাশি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী প্রায় সময় নেখাগ্রস্ত থাকা ও প্রকাশে নেশা করতে দেখা যাওয়ার বিষয়টিও এমপির ডিও লেটারে উল্লেখ করা হয়। এমপির ডিও লেটারের পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সম্প্রতি বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের সাথে অসদাচরনের অভিযোগ করেছেন উপজেলার একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিক। এ সব বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী জানান, আমি সরকারের নিয়মানুযায়ী দাপ্তরিক কাজ করি। কোন অনিয়ম দূর্নীতি, নেশা করা বা নারী গঠিত কোন ঘটনার সাথে জড়িত নয়। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগমের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এমপি সাহেবের অভিযোগের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তি প্রদক্ষেপ গ্রহন করবো।