জামালপুর সদর-৫ আসনে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ফারুক আহমেদ চৌধুরীর কে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন তা ভোটারদের মাঝে তুলে ধরছেন এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে বিগত দিনে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের মূল্যায়ন করেছে এমন নেতাকেই এমপি হিসেবে চান তারা। এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী একজন জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি বর্তমান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলের দু:সময়ে কর্মীদের পাশে ছিলেন এমন নেতাকেই এমপি মনোনয়ন দিলে দল ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মূল্যায়িত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন দক্ষ ও সাংগঠনিক ব্যক্তিকেই এবার জামালপুর-৫ (সদর) আসনে এমপি মনোনয়ন দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, জামালপুর-৫ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের এবার একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে সরব রয়েছেন। আওয়ামী লীগ যেহেতু একটি বৃহৎ সংগঠন এই দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জামালপুর-৫ (সদর) আসনে একজন সাংগঠনিক ও দক্ষ ব্যক্তিকেই এমপি হিসেবে দেখতে চায় এবার তৃণমূল ও সাধারণ মানুষ। এদের মধ্যে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী একজন নি:সন্দেহে কর্মীবান্ধবনেতা। তার কাছে কোন কর্মী গিয়ে মূল্যায়িত হয়নি এমন কোন নজির নেই। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সবসময়ই মূল্যায়ন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। জামালপুর-৫ সদর আসনে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দায়িত্বে থাকার কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে জনপ্রিয় নেতা ও সাংগঠনিক ব্যক্তি হিসেবেই চিনেন। সব মিলিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাঠে থাকায় তার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে জানান সাধারণ মানুষ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাই দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে খুব সহজে এই আসনে জয় পাবার আশা ব্যক্ত করেন এই নেতারা। জানা গেছে, এ আসনের নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত এলাকায় গিয়ে জনসাধারণের প্রতিটি দরজায় গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি সভা, সমাবেশে উপস্থিত থেকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরার পাশাপাশি সকলের কাছে তার জন্য দোয়া চেয়ে যাচ্ছেন তিনি। এলাকার জনসাধারণসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা জামালপুর-৫ (সদর) আসনে তাঁকেই এবার নৌকার প্রার্থী তথা এমপি হিসাবে দেখতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও সাধারণ ভোটারদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় ছুটছেন এবং স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীও আশা করছেন, জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী এবার নৌকার টিকিট পাবেন। উল্লেখ্য, ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৮০ সালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও ১৯৮৪ সালে স্নাতক (ডিগ্রি) পাস করেন। ১৯৮৬ সালে ময়মনসিংহ আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন। ১৯৮১ সালে জামালপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে ১৯৯১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পান তিনি। তাঁর সংগঠনের প্রতি আপোষহীন প্রেম, সিদ্ধান্তে অবিচল, বিরামহীন পরিশ্রম, একাগ্রতা ও তৃণমূলের ভালোবাসায় ২০০৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি টানা ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ফলে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেন।