জেলার সখীপুরে নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর মীম আক্তার (৯) ও ঝুমার আক্তার (৯) নামে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হতেয়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মীম ওই এলাকার কামরুল হাসানের মেয়ে ও ঝুমা বাবুল মিয়ার মেয়ে। তারা দুজনই হতেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার হওয়াতে উপজেলা জুড়ে চরম আতঙ্কে বিরাজ করছে। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম এ বিষয়টি জানান। নিখোঁজ দুই শিশুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরের খাবার খেয়ে মীম ও ঝুমা খেলতে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পরও তারা বাড়ি ফিরেনি। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাত পৌঁনে ১০টা পর্যন্তও তাদের খোঁজ মেলেনি। পরে বাড়ির উত্তরপাশে পুকুরে জাল দিয়ে খোঁজাখুঁজির পর মরদেহ পাওয়া যায়। শনিবার সন্ধ্যার পর শিশু মীম ও ঝুমার ছবিসহ নিখোঁজের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে নয় বছরের শিশু সামিয়াকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ফলে পুনরায় একই বয়সের শিশু মীম ও ঝুমা নিখোঁজের খবরটি উপজেলাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান বলেন, ঘটনা জানতে পেরেই আমরা এলাকায় মাইকিং করেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেছি। পরে পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, নিখোঁজের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।