৩ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্প্রতি মিরপুর পল্লবীর কালশীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আরসাদ হাসানের হত্যার বিচার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে দেশের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সড়কে অবকাঠামো নির্মাণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসার কারনে যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিময় বিশৃঙ্খলা সড়কে প্রতিদিন শত-শত মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এহেন ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার নানা ভুল তথ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমছে বলে নানান ভাবে জাহির করছে। অনতিবিলম্বে সড়কে দুর্ঘটনার নামে ধারাবাহিক হত্যা বন্ধের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনার মামলা হয় না। মামলা হলেও বিচার হয় না। বিচার হলেও রায়ের বাস্তবায়ন হয় না। ফলে অপরাধীরা কাউকে পরোয়া করে না। নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলেও সড়কে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। ফলে অপরাধীরা বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই এই সেক্টরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার বাস্তবায়নের দাবী জানান তিনি। একই সাথে মিরপুরের কালশীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিড়াল প্রেমী আরসাদ হাসান হত্যার বিচার ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবী জানান তিনি। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন- যে সড়কে মানুষ নিরাপত্তা বোধ করে না এ ধরণের মহাসড়ক, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ করে লাভ কি? সবার আগে জনগণের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে, জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন – বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও লাইসেন্সবিহীন অদক্ষরা গাড়ি চালানোর জন্যই যত্রতত্র সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তিনি মনে করেন। বুলু আরো বলেন – ‘সড়কে এভাবে আর কোন মূল্যবান প্রাণ যেন অকালে ঝরে না যায়। আর কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয়। কোন স্ত্রী যেন তার স্বামীকে হারিয়ে বিধবা না হয়। আর কোন সন্তান যেন এতিম না হয়’। সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবার ফোরামের আহবায়ক মনজুর হোসেন ইশা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে ক্ষতি পুরণ দিতে হবে। নিহত আরসাদ হাসানের মেয়ে রাহিলা আঞ্জুম খুশবু বলেন – তার পিতা বিড়াল প্রেমী আরসাদ হাসানের হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর বিভিন্ন মহলের হুমকি-ধামকি ও মারধর যেন বন্ধ হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনায় পিতা হত্যা মামলা করে আমরা বেকায়দায় আছি। বাসের মালিক পক্ষে লোকজন দফায় দফায় হুমকি দিচ্ছে মামলা প্রত্যাহার করতে। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা আপোষ করার প্রস্তাব দিচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পিতার হত্যার বিচার চেয়ে আমার এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।