সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যমুনার পানি এখন বিপদসীমার ছুঁই ছুঁই। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে এবং নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ এখন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারি বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে এবং হাজার হাজার মানুষ এখন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২১ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমার ছুঁই ছুঁই। পানি বাড়তে থাকলে রাতের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। এদিকে যমুনার তীরবর্তী উল্লেখিত উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। ইতিমধ্যেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নিচু বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত এবং ডুবে গেছে বিভিন্ন ফসল। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা বাড়ছে। বন্যা কবলিত অনেক পরিবার এখন মানববেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে এবং শাহজাদপুর ও চৌহালীর ভাঙ্গন এখনও থামছেনা। অবশ্য ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতার“জ্জামান বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার অনেক নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। তবে চৌহালী উপজেলা বন্যা কবলিত অঞ্চলের ১৫ শতাধিক মানুষ পানি বন্দির রিপোর্ট পেয়েছি। বন্যা ও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি এবং তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।