নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রশ্রয় দিয়েছিল। তার জানে না, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায় না, তিনি একটি আদর্শ। আমরা তার আদর্শকে ধারণ করি বলেই এত ষড়যন্ত্রের মধ্যেও বাংলাদেশ টিকে আছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি এ আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত কখনও সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথা নত করবে না। যারা সাম্রাজ্যবাদের কাছে মাথা নত করেছে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা দেশে সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের যে পথ সে পথ অনুসরণ করবো। তার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি এ বাংলাদেশকে স্মার্ট এবং উন্নত দেশে পরিণত করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে সারা জীবন ঋণি। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশের পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্বের অনেক জাতিরই স্বাধীনতা নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।’ সভাপতির বক্তব্যে সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট সেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হরণের চেষ্টা করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের দোসররা দেশের রাজনীতিতে পুর্নবাসিত হয়েছে। নানা সময়ে ষড়যন্ত্র করেছে, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ফজলে আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।