কুড়িগ্রামে বৃষ্টিপাত না থাকলেও উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীতে আবারো দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে দুপুর ২টায় দশমিক ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি এভাবে কমা-বাড়ার কারণে নদী অববাহিকার মানুষজনের মাঝে এক অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। অন্যদিকে, ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার মাত্র দশমিক ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার দশমিক ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল গুলো দ্রুত জলমগ্ন হয়ে বন্যা কবলিত মানুষের ঘরবাড়িতে ফের পানি ঢুকছে। জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার জুয়াসতরা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, বাহে.. এখনো বানের পানি নামার পর ঘর বাড়ির কাদায় শুকায়নি, তাতে আবারও পানি ঢুকতেছে। এভাবে জীবন চলায় দায়। এসব এলাকায় বিপুল পরিমাণ রোপা আমন ক্ষেত ও শাকসবজি বাগানে দফায় দফায় পানি ওঠায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে, নদী অববাহিকার কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, চিলমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী ও রৌমারী উপজেলার নীচু এলাকা ও চরাঞ্চলের। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী-তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল এবং ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে বলে জানান-বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।