র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানির ও সদর কোম্পানি খুলনার একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা সাধারন রোগীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহনের আশ্বাসের কথা বলে প্রতারণার করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নিম্ন মানের ক্লিনিকের মালিকদের সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের সেখানে যাওয়ার ফলে নিন্ম আয়ের রোগীরা সেখানে কোন ভালো মানের চিকিৎসা না পেয়ে প্রতারণার পাশাপাশি বিপুল পরিমান অর্থের ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন। উক্ত গোপন তথ্যের প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ এর চৌকস আভিযানিক দলটি গতকাল সকাল থেকে ৪/৫ ঘন্টা অভিযান পরিচালক করে। এ সময়ে আরিফুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা এর সহযোগীতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় দালাল চক্রের ১১ জন সদস্যকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। দালাল চক্রের হোতারা যথাক্রমে লিটন মন্ডল(৩২), জোতির্ময় শীল(২৮), মোঃ শিফাজুর রহমান(২৮) রিয়াজুল ইসলাম(৩০) ফিরোজ হোসেন(২৭) ফারুক হোসেন(৩৩) ওসমান শেখ(২৯) সিমা বেগম(৩০) আরাফাত আদ্রঙ্গী(২৮) গোলাম রহমান (৩১) ও আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ(২৭) প্রত্যেককে ১০০০ টাকা করে সর্বমোট ১১,০০০/- টাকা অর্থদন্ড এবং লিটন মন্ডল(৩২) জোতির্ময় শীল(২৮) দ্বয়কে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। গ্রেফতারের পর আসামীরা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে। উক্ত দালালদেরকে গ্রেফতারের পরে র্যাব – ৬ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার এসপি বদরুদ্দোজা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিং এ গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যতদিন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দালাল মক্ত না হবে ততদিন আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে দালাল মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছি।