বাংলাদেশ আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্বজনীন পেনশন একটি চমকপদ ও ভাল উদ্যোগ। অর্থমন্ত্রী এটাতে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনারা সবাই প্রত্যেকটি এলাকায় এটিতে এগিয়ে আসবেন। এতে দেশের, সরকারের লাভ হবে। জনগনের দ্বিগুন লাভ হবে। এ স্কিমটা নতুন উদ্যোমে চালু হোক এই কামনা করি। তিনি ২৭ আগষ্ট রোববার সকালে সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকারের এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সার্বজনীন পেনশন করতে পারলে আমাদের লাভ হবে। যদি কেউ এটি ৬০ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারলে তারা কিন্তু লাভবান হবেন। তারা তাদের জীবনকে সুন্দর করে পরিচালিত করতে পারবে। অন্যান্য যেখানে আমরা বিভিন্ন স্কীমের মাধ্যমে টাকা জমা দেই, যেমন পোষ্ট অফিসে দেই, সেখানে জমা দেওয়ার পর হয়তো ৭/৮বছর পর বাংলাদেশ ব্যাংক টাকাটা তুলে নেয়। আগে ৫ বছর ছিল, এখন ১০ বছর হয়েছে। সেখানে তেমন একটা সুযোগ সুবিধা নেই। সার্বজনীন পেনশনে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। ডিজিটাল যুগে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। আর এই ডিজিটাল যুগে যদি আরও বেশি এগিয়ে যেতে চাই তাহলে প্রত্যেককে সঞ্চয়ী হতে হবে। এতে আমরা কেউ যাতে কারও দিকে না তাকাই, সবাই নিজের টা নিজেই করি। শিল্প কারখানা, কৃষিকাজ সেগুলো করবে, তার উপরে এই স্কীমটা যেন চালু থাকে এর উপরে প্রত্যেকটা ছেলে-মেয়ে যখনই জন্ম নেয় তখনই স্কীম চালু হয়ে যায়। সরকার লোন দিতে থাকে। তিনি আরও বলেন, আমরাও উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে গিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কিভাবে একটা কম্পিউটারকে পরিচালনা করবেন, স্কীমের আওতায় এটাকে আরও বেশি জানার সুযোগ পাবেন সেটা হবে। যারা শিক্ষিত তারা তো সহজেই জেনে যাবেন, সেই সাথে অন্যান্যরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনে যাবেন। ভবিষ্যতে আমাদের একটা বিশাল অর্থ জমা দেওয়ার খাতিরে আমাদের এটা জমা দেওয়া দরকার। সরকার এটা ডবল দিবে। সর্বপরী এই স্কিমটা অত্যন্ত স্মার্ট ও মহৎ। আর এই স্কীমটাকে সফল করার দায়িত্ব সকল ব্যাংকার, আমাদের সকল যারা সুবিধাভোগী তাদের এটাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মানুষকে বোঝাতে হবে। তা না হলে হঠাৎ করে এটা চালু হলো, তাহলে হবে না। রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। পরে কে কত টাকা জমা করবেন সেটা নির্ভর করবে। আমাদের কৃষক ভাইয়েরা তাদের কৃষি অর্থ যদি জমা দেয়, তাহলে ১০ বছর পর ২০ বছর পর এখান থেকে যা আয় হলো সেটা বড় কোন কাজে লাগাতে পারবে। আর এখানে একজন নমিনি থাকছেন, ফলে যদি তিনি মারা যায় নমিনি টাকাটা তুলতে পারবেন। চিন্তার কোন বিষয় থাকছে না। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি আ’লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো: মামুন ভুইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক, রাণীশংকৈল পৌর মেয়র মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ।