মাদকমুক্ত সমাজ গঠন ও সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বক্তারা মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময়ে বক্তারা আরোও বলেন সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। যুবকরাই দেশের প্রধান চালিকা শক্তি দেশ গঠনে যুব সমাজরাই সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এমতাবস্থার পাশাপাশি মাদক থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতে কঠোর ভূমিকা পালন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। খুলনা প্রাইমারি টিটার্স টেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) এর অডিটোরিয়ামে ‘মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে শিক্ষক ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ সমস্ত কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ তার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করে মাদকের ভয়াল কবল থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে খেলাধুলার পাশাপাশি, বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বারংবার এ ধরনের সভা সেমিনারসহ গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সুশীল সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভার যৌথ আয়োজন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান ও খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (বাতিঘর)। খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার মো. আবু হেনা হাসানুজ্জামান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (বাতিঘর)।এবং উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ারুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা পিটিআই’র সুপারিনন্টেন্ডেন্ট মাধুরী বিশ্বাস। সভায় অতিথিরা আরোও বলেন, যারা মাদকদ্রব্য ক্রয়, বিক্রয় ও সেবন করে তারা সকলেই মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধের সাথে জড়িত। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা জরুরী হয়ে পড়েছে। মাদকাসক্তি একটি সামাজিক সমস্যা ও ব্যাধি। মাদক বিষক্রিয়ার ভয়াল ছোবল থেকে যুব সমাজকে বিরত রাখা ও অভিভাবকদের ও এখন নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। মাদক এখন শুধু ব্যক্তি মানুষকেই নয়, বরং তার পরিবারকেও ধ্বংস করছে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলদের একযোগে ভূমিকা পালন করতে হবে।