খুলনা নগরীর ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বরে আগামী ১৭ জুলাই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণ, প্রচার-প্রচারণা ও দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করছে দলটি। সমাবেশ স্থলে লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দিনভর ব্যস্তসময় পার করছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তরুণ প্রজন্মের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ব্যানারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে এই কর্মসূচি ঘিরে খুলনা বিএনপিতে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সমাবেশে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ হলেও এই সমাবেশকে মহাসমাবেশে রূপ দিতে চায় বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুধু দলের কর্মী সমর্থক নয়, সাধারণ মানুষও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা থানা উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত কর্মিসভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। জানা যায়, সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশ সফল করতে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় গণসংযোগ করছেন।
বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে মহিলা দল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, শ্রমিক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ নানা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। এর ধারাবাহিকতায় খুলনায় ১৭ জুলাই তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ স্থল হিসেবে ডাকবাংলো সোনালী ব্যাংক চত্বর ব্যবহারের জন্য লিখিত অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ১৪ জুন চট্টগ্রাম বিভাগে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়েছিল, যা ২২ জুলাই ঢাকায় শেষ হবে।