শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার মোট পাঁচশত ৯৭ জন অসহায় শ্রমিকদের মাঝে দুই কোটি ৭৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়। খুলনার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত চেক বিতরণ করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। প্রাতিষ্ঠানিক – অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরের শ্রমিক ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ও সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য এ সময়ে উক্ত আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেয়া হয়। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই অসহায়, দুস্থ মানুষ এখন বেশি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। শ্রমিকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে গরীব মেধাবি শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে এখন লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া এখন যোগাযোগ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ার ফলে মানুষ সহজেই যাতায়াত ও জরুরী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সরকার অবিরাম ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করেছিলেন। উক্ত তহবিলের লভ্যাংশ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার অসহায় শ্রমিকদের মাঝে একশত ১১ কোটি টাকার অধিক আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রায় সাড়ে ৮ শত কোটি টাকা জমা রয়েছে শ্রমিকদের কল্যাণে। খুলনা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আয়োজনে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ মহিদুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক ডাঃ নবীন কুমার হাওলাদার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বিজেএ’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানাহউল্লাহ নান্নু, সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম বাশার, উক্ত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময়ে বক্তব্য রাখেন।