খুলনার রুপসা উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী ইলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা মা ও স্ত্রী- সন্তানকে দফায় দফায় প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট করে লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী বাহিনীরা এক লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার। গত রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার ইলাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহত প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা (৩৫) কে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখনো আহত নাজমা বেগম উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ পেয়ে রুপসা থানার পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অভিযোগে জানা যায় মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুস সামাদ শেখ এর মা মরিয়ম ও স্ত্রী নাজমা দুই সন্তান নিয়ে রুপসার ইলাইপুর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছে। গত ১৮ জুন সকালে নাজমার বাড়ির কেয়ারটেকার বিল্লালের নিকট ইলাইপুর মোড়ের মুদি দোকানদার মাওঃ জসিম উদ্দীন তার পাওনা দোকানের বাকী টাকা নিতে আসেন। দেনা-পাওনা নিয়ে কথা কাটাকাটি সময় একই এলাকার মৃত জব্বার শেখ এর ছেলে আব্দুর রহমান সেখানে এসে বিল্লালকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময়ে নাজমা এর প্রতিবাদ করলে তাকে সে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। এঘটনার পর আব্দুর রহমান ও মোজাফ্ফারের স্ত্রী এসে নাজমা ও তার শাশুড়ি মরিয়ম ও স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নিপুনকে (১৩) কে মারপিট করে চলে যায়। এদিকে উক্ত আব্দুর রহমান ও দোকানদার মাওঃ জসিম উদ্দীন স্থানীয় মেম্বরের নিকট বিল্লালকে ধরে নিয়ে পাওনা টাকা আদায় করে নেয়। এদিকে ঘটনার দিনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রহমান ও জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন নারী-পুরুষের একটি সঙ্গবদ্ধ দল একত্রিত হয়ে আবরো নাজমার ঘরে প্রবেশ করে তাদের তিনজনকে বেধড়ক মারপিট করে এ সময়ে নাজমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেন ও একলাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় নাজমাকে গুরুতর অবস্থায় রূপসা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাজমা জানায় উক্ত রহমান গং দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নিয়েছে। তিনি আরোও জানান হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা করবেন। বর্তমানে আমার পরিবার থানায় প্রাথমিক মৌখিক অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে খোজ-খবর ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমান সাপেক্ষে থানা অবশ্যই নিয়মিত মামলা গ্রহণসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।