নাটোরের নলডাঙ্গায় এক গৃহবধুকে জোড়পুর্বক ধর্ষনের অভিযোগে মোঃ আশিফ (২৫) নামে এক যুবককে আটকের পর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৬ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে সোমবার (০৫ জুন) দিনগত রাতে তাকে পৌরসভার কুটরীপাড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। রোববার (০৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার শরকুতিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধু। আটক আশিক ওই গ্রামের মোঃ জনাব আলীর ছেলে। আর ধর্ষিত গৃহবধু একই এলাকার মোঃ মন্টু সরদারের স্ত্রী। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রায় এক বছর ধরে আশিফ ওই গৃহবধুকে নানা ভাবে কু-প্রস্তাবসহ উত্যক্ত করে আসছিল। এ ঘটনায় তার স্বামী মন্টু সরদার আশিফকে বার বার নিষেধ করলেও কোন কর্ণপাত করে না। রোববার (০৪ জুন) ওই গৃহবধুর স্বামী ব্যবসার কাজে বাহিরে থাকায় দিনগত রাত সাড়ে ১০ টার সময় গাছ বেয়ে বাড়ির টিনের বেড়া টপকে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির ভিতরে শব্দ হলে ওই গৃহবধু ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় যান। এ অবস্থায় বখাটে আশিফ তাকে চাকুর ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে শয়ন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে জোড়পুর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ঠিক একই সময়ে স্বামী মন্টু সরদার ব্যবসার কাজ সেড়ে বাড়ি ফিরে মুল ফটকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে বেড়া টপকে ভিতরে প্রবেশ করেন। পরে শয়ন ঘরে গিয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ অবস্থায় আসিফকে আটকানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পালিয়ে যায় আশিফ। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ওসি বলেন, এই ঘটনায় ওই গৃহবধু নিজেই বাদি হয়ে আফিফকে অভিযুক্ত করে নলডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে আসিফকে আটক করা হয়। পাশপাশি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।