খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন আগামী ১২ জুন। কেসিসি নির্বাচনে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার মেয়র প্রার্থী সহ ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। শুক্রবার (২৬ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর শুরু হবে তাদের প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল পর্যন্ত মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তবে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মো: আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এস.এম শফিকুল ইসলাম মধু ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী এস.এম সাব্বির হোসেন। এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। জানা গেছে, কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। আর ১২৮টি সাধারণ কেন্দ্র। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার। নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কেএমপি সদর দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামমী ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ১৪জুন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন বলেন, “১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বর্তমানে ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। আজ মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, “এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে।”
এবিষয়ে কেএমপি সাউথ ডিসি (পুলিশ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “আগামী ১২ জুন কেসিসি নির্বাচনে সাধারণ জনগণ যাতে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারে। তার সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোট কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। নির্বাচন কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।