![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রার্থী বাছাই শেষ হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর শুরু হবে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কেসিসির ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ ও ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। জানা যায়, এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬। এবারের নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। কেএমপি জানায়, সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এরই মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কেএমপি দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ভোটার সংখ্যা, প্রার্থীর বাড়ি সংলগ্ন কেন্দ্র, প্রভাব বিস্তার, যাতায়াতসহ বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সাধারণ কেন্দ্রে থাকবেন ৭ জন পুলিশ ও ১৫ জন করে আনসার সদস্য। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এটি কমবেশি হতে পারে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯ কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২ ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।