বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ব্যবসায়ী ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন তাকিয়া রোডের মেসার্স কাদের এবং মেসার্স রিফাত এর মসলা ভাঙ্গানো মিলের ভিতর ভেজাল মশলা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ ও প্রস্তুত করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত শনিবার বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সমেলা বেগম (৩০), নুরজাহান বেগম (৩৫) ও রোকেয়া বেগম (৪৫) কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃর্ত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদসহ উক্ত মশলা মিল ঘরের ভিতর তল্লাশী করে ৩৩ টি প্লাাস্টিকের বস্তায় ভেজাল রং মিশ্রিত হলুদ মরিচের গুড়া মোট ১,১৫৪ কেজি উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অসৎ উপায় অবলম্বন করে বিভিন্ন ধরনের মশলাসহ মরিচের গুঁড়ার সাথে বিভিন্ন রং ও রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন করতঃ ভেজাল মশলা তৈরী করে এবং এই সব ভেজাল মশলা ফেনী জেলার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছে বলে স্বীকার করে । গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।