ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন অনেকেই। তবে সেখানে গিয়ে জমিজমা বা পারিবারিক বিরোধের জেরে অথবা অন্য কোনও কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরইমধ্যে ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে কেউ যেন কোনও বিরোধপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে, পুলিশ সদর দফতর থেকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে সবাই সুস্থ-সবলভাবে আবারও কর্মস্থলে ফিরে আসবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ বলছে, ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ছুটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে যাবেন তারা নিজ ব্যবস্থাপনায় বাসাবাড়ির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে যাবেন। ঈদের ছুটিতে বা কোনও কারণে বাসা ছেড়ে গেলে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ—ব্যাংক বা আস্থাশীল কোনও জায়গায় রেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু ঈদকেন্দ্রিক নয়, নানা কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। তবে এ বছর ঈদ সামনে রেখে কেউ যেন কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর অফিসার ইনচার্জকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিট পুলিশিংয়ের সহায়তায় জমিজমার বিরোধ কিংবা পারিবারিক বিরোধের বিষয়গুলো সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে কেউ যেন কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলায় না জড়ায় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। বিশেষ করে জমিজমা কিংবা পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারি-হানাহানিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে আগে থেকেই সজাগ রয়েছি। জেলার প্রতিটি থানাকে সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের তথ্য-সংগ্রহ করা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে শহর থেকে গ্রামে এসে যারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে ঈদ করতে পারেন—সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। সংশ্লিষ্ট সব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।