প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১১ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় জেলা মৎস্য অদিদপ্তর এর সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় জাটকা ইলিশ সংরক্ষন ও বিক্রয় করার অপরাধে ০৭ টি মৎস্য আড়ৎকে সর্বমোট ১৮,৪৫,০০০/- (আঠার লক্ষ পয়তাল্লিশ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে রাসেল মৎস আড়ৎকে নগদ- ৮,১০,০০০/-(আট লক্ষ দশ হাজার) টাকা, মাইদুল এন্টারপ্রাইজ মৎস আড়ৎকে নগদ- ২,০৫,০০০/-(দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা, রহমান মৎস আড়ৎকে নগদ- ২,০৫,০০০/- (দুই লক্ষ পাঁচ হাজার), আল্লাহ ভরসা মাছের আড়ৎকে নগদ- ২,০৫,০০০/-(দুই লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা, শিব শংকরী মাছের আড়ৎকে নগদ- ৪,১০,০০০/- (চার লক্ষ দশ হাজার) টাকা, তাহমিনা মৎস্য আড়ৎকে নগদ- ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা ও জগন্নাথ মৎস্য আড়ৎকে নগদ- ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আনুমানিক ১০,৪৬,৮০০/- (দশ লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার আটশত) টাকা মূল্যের ২৬১৭ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিম খানা ও অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করেছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা জাটকা ইলিশ সংরক্ষন ও বিক্রয় করে আসছিল।