আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ না দেখালেও তলে তলে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতাকর্মী নির্বাচনের বিষয়ে যোগাযোগ করছেন। আপনাদের ভেতর উকিল আব্দুস সাত্তারের মতো অনেক নেতা আছেন। অনেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পথ খুঁজছেন, তলে তলে যোগাযোগ করছেন। অপেক্ষা করুন দেখতে পাবেন।’
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এ সব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহল এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
বিএনপি ঘোমটা পরে নির্বাচনে অংশ নেয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হারবে বলে সরাসরি নির্বাচনে আসে না। ঘোমটা পরে নির্বাচনে আসে। ধানের শীষ না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
সিটি নির্বাচনসহ সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। সংবিধান অনুযায়ি যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ আসুক আর না আসুক নির্বাচন কারো জন্য থেমে থাকবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য জেনেই নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের খেলায় নেমেছে বিএনপি। তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বরং বিতর্কের সৃষ্টি করতে চায়।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা অনেক আন্দোলন করে, রংবেরঙের আন্দোলন। কখনো পদযাত্রা, কখনো মানববন্ধন কিন্তু কোনো আন্দোলনেই জনগণ সাড়া দেয়নি। বিএনপি বুঝে গেছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই।
বাংলাদেশে বিএনপি রাজনৈতিক দুর্ঘটনার পথে হাঁটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। বিএনপির আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের কাছে কোনো সাড়া জাগাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।