সাম্প্রতিক সময়ে এমএলএম কোম্পানীর নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, পিরোজপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বর্ণিত প্রতারণার ঘটনা প্রচারে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য ও আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। ফলশ্রুতিতে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন গোলাপবাগ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে “পাশে থাকা ফাউন্ডেশন” নামক একটি ভুয়া প্রতারক সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদ হাসান (২৬), পিতা- আব্দুল জব্বার হাওলাদার, সাং- ফুলঝুড়ি, থানা- মঠবাড়িয়া, জেলা- পিরোজপুর, বর্তমান ঠিকানা- মদিনাবাগ, রায়েরবাগ, থানা- কদমতলী, জেলা ঢাকা ও তার অন্যতম সহযোগী সুরমা আক্তার ইশা (২০), পিতা- মোঃ শামছু মিয়া, স্বামী- মোঃ জাহিদ হাসান, সাং- ফুলঝুড়ি, থানা- মঠবাড়িয়া, জেলা- পিরোজপুর, বর্তমান ঠিকানা- মদিনাবাগ, রায়েরবাগ থানা- কদমতলী, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। এসময় তাদেরক নিকট থেকে ৫০টি প্রতারনার বাজার কার্ড, ০২টি খাদ্য তালিকার কার্ড ও ০২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রটি মধ্যবিত্ব, নিম্ন মধ্যবিত্ব ও গরিব লোকজনদের টার্গেট করে উক্ত ফাউন্ডেশনের সদস্য করত। উক্ত সংগঠনের সদস্য হলে তাদেরকে প্রতি মাসে তিনবার ০৫ কেজি চাল, ০২ কেজি আটা, ০১ লিটার তেল, ০১ কেজি ডাল ও ০১ কেজি চিনি ৬০০/- (ছয়শত) টাকা ন্যায্য মূল্যে দিবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে যেত। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সাধারণ মানুষের সাথে এধরনের প্রতারণা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে আনুমানিক ১১, ০০০ (এগার হাজার) সদস্য করে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।