বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ১১২০ জন নারী ও শিশুকে ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির ২৪তম সভায় অনুদানের জন্য চলমান অর্থবছরে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে এ অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টির সহসভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, ট্রাস্টির সদস্য অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন প্রমুখ। এ অর্থবছরে প্রাপ্ত ২ হাজার ৫৮৪টি আবেদনের মধ্যে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ৫০ জনকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বার্ধক্যজনিত রোগের জন্য ৬০ জনকে ৯ লাখ টাকা, সাধারণ চিকিৎসায় ১৪০ জনকে ১৪ লাখ টাকা, শিক্ষার জন্য ৬৯ জনকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আর্থিক/অন্যান্য ৮০১ জনকে ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বমোট ১ হাজার ১২০ জনকে ৮২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। অনুদান প্রাপ্তরা নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করবেন। সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদান প্রাপ্তদের কাছে অনুদানের চেক দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিডাব্লউবি কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ লাখ ৪০ হাজার নারীকে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি থেকে ১২ লাখ ৫৪ হাজার মাকে প্রতি মাসে ৮০০ টাকা ভাতা প্রদান করছে। এছাড়া নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য বাংলাদেশ মহিলা সমিতির প্রতিনিধি সেলিনা খালেক, কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি, অপরাজেয় বাংলার নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, হোসেন আরা সিদ্দিকি জুলি ও রওশন জাহান সাথী।