ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১১ বছরের এক শিশুকে লিটু আনাম নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিমের বাবা জানান, লিটু আনামের দ্বিতীয় স্ত্রী লাভনী তার শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে গত ২১ মার্চ লিটু আনামের বাসায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের পিতা অভিযোগ করে বলেন, গত ২২ মার্চ ধর্ষকের স্ত্রী লাভনী জানায়, আপনার মেয়ে পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছে। আপনার বোনকে দিয়ে ওকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পাঠিয়েছি। পরে আমার বোনের কাছে শুনি আমার শিশু কন্যাকে অমৃতপুর এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াসের ছেলে লিটু আনাম ধর্ষণ করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবং মামলা না করার জন্য ধর্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী লাভনী ও লাভনীর আত্মীয় রবিনকে দিয়ে ভিকটিমের দুই ফুপুকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ভিকটিমকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে শুনলাম।
এ বিষয়ে এখনো ভিকটিমের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঐ এলাকার যুবলীগ নেতা পাপ্পু জানান, ধর্ষণের ঘটনা শুনে তারা লাভনীর বাবা সিদ্দিকের বাড়িতে গেলে লাভনীর আত্মীয় রবিন তাকে জানান, ধর্ষণের বিষয় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিককে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আর কোনো ঝামেলা নেই আমরা সব কিছু ম্যানেজ করেছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জনপ্রতিনিধি জানান, ধর্ষক লিটু আনাম একজন মাদক কারবারি। সে ইমামবাড়ি এলাকায় হাজি ফারুকের বিল্ডিংয়ের আর্ট তলায় দুটি ফ্ল্যাট কিনেছে। সেখানে থেকে মাদক ব্যবসা করে আসছে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে তার সখ্যতা আছে। অন্যদিকে পুলিশ জানায়, লিটু আনামের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও গুলি, মাদক, চাঁদাবাজিসহ চারটি মামলা রয়েছে। এ চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনায় গত ১১ দিনেও থানায় কোনো মামলা না হওয়ার এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন