পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শতকরা ৫০ শতাংশই উত্থাপিত হয়নি। আমাদের আশপাশে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন তাদের গল্প শুনে চারঘাটের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস খুঁজে বের করতে হবে। চারঘাটের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় ইতিহাস আছে, জাতির কাছে তা তুলে ধরতে হবে। গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার অসহায় প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের চেক বিতরণ এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল চারঘাটের থানাপাড়া আক্রমণ করেছিল পাকিস্তানি ঘাতকগোষ্ঠী। দখলদার বাহিনী সেদিন থানাপাড়ার সব পুরুষদের পদ্মাপাড়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, নারীদের বিধবা করেছিল। তিনি চারঘাটের মুক্তিযুদ্ধের আরও অনেক অজানা ইতিহাস মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতাকে ব্যতিক্রমধর্মী ও শিক্ষণীয় একটি অনুষ্ঠান উল্লেখ করে এ কৃতিত্বের জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে চারঘাটের সব ছাত্র-ছাত্রী অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে। এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়মিত পাঠদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে অতীতের চেয়ে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বেশি জানতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম। এতে অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী উপজেলার ৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৭৯ জন বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে একটি করে বই তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার অসহায় প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ২১টি হুইল চেয়ার, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ৫১ জন ঋণগ্রহীতাকে নগদ ২৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ও উপজেলার অসুস্থ ১১ জন রোগীকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে মোট সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।