চট্টগ্রাম বন্দর ও বেলজিয়ামের এন্টওয়ার্প বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলে আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম ও এন্টওয়ার্প বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত এবং কম খরচে কন্টেইনার/কার্গো পরিবহন সহজ হবে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক পরিবহনের ক্ষেত্রে সময় ও খরচ কমে যাবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বেলজিয়ামের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত দিদিয়ের ভেন্ডারহেসেল্ট। সাক্ষাতের সময় এ আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রতিমন্ত্রী পায়রা বন্দরের ড্রেজিংসহ চট্টগ্রাম, মোংলা, মাতারবাড়ী বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের উন্নয়নে লজিস্টিক্স সাপোর্ট ও ট্রেনিংয়ের বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে সহযোগিতা এবং সিফেয়ারারদের বেলজিয়াম জাহাজে চাকরি ও ট্রেনিংয়ের বিষয়েও সহায়তা চান। রাষ্ট্রদূত এসব খাতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য মিশনের দলনেতা হিসেবে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বেলজিয়াম দূতাবাসের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনার বেবিতি ডেসফোসেজ, ব্যবসায়ী ব্রাম ভেন্ডিপিত ও অলিভিয়ার ভিজভার্মান উপস্থিত ছিলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার বণিক ও যুগ্ম-সচিব (পরিকল্পনা) শেখ মো. শরিফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।