বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মো. আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা সেটা উনি যখন নমিনেশন পেপার সাবমিট করবেন তখন বলা যাবে। উনি নমিমেশন সাবমিট করলে রিটার্নিং অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন যে অবস্থা কী। কারণ এখনকার অবস্থা আর তখনকার অবস্থা তো আলাদা হতে পার। এ মুহূর্তে তাই বলা যাবে না। নির্বাচনি আইনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতা অনুযায়ী, আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাজাভোগের পাঁচ বছর সময় অতিক্রান্ত না হলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। জিয়া অফরানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা সাজাভোগ করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন। পরবর্তীতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সেটিও খারিজ করে দেন তৎকালীন কেএম নূরুল হুদা কমিশন। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।