প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল ঢাকার কদমতলী, ডেমরা ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক পাখা, ঔষধ এবং ভেজাল খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ০৭টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ১১,৫০,০০০/- (এগারো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে হামজা ফুড প্রোডাক্টস’কে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, কেয়ার লেবরোটরিজ’কে নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, কসমো প্লাস্টিক’কে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, শান্ত ফুড প্রোডাক্টস’কে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, মিমি এ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস’কে নগদ- ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, জনতা কর্পোরেশন’কে নগদ- ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ও এস.কে. নুর ফুড প্রোডাক্টস’কে নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে উক্ত মোবাইল কোট আনুমানিক ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের নকল বৈদ্যুতিক পাখা, ঔষধ এবং ভেজাল খাদ্য দ্রব্য জব্দ ও ধ্বংশ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক পাখা, ঔষধ এবং ভেজাল খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।