পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণে নিয়মবহির্ভূত আর্থিক লেনদেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গরমিল এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে যার দায়ভার বর্তায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ওপর।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক টিমের গবেষণা ও অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ হতে যাওয়া সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে সুপারিশ হিসেবে বিষয়টি থাকছে বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে প্রতি বছর দুদক সুপারিশ তৈরি করে। সেগুলো বিবেচনা করার জন্য প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে পাঠানো হয়
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান
প্রতিবেদনে ছয়টি উৎস চিহ্নিত করার পাশাপাশি দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে প্রতি বছর দুদক সুপারিশ তৈরি করে। সেগুলো বিবেচনা করার জন্য প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে পাঠানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দুর্নীতির উৎসগুলো হলো-
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখানে গরমিল পরিলক্ষিত হয়। ‘নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিম্নমানের কাজ করে বা কোনো কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরির মাধ্যমে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেংথেনিং প্রজেক্ট’সহ বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের ক্ষেত্রে কিছু অসামঞ্জস্যতার তথ্য রয়েছে।