বহু আলোচিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আলোচনা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে। বুধবার ১৫ মার্চ সকাল ১০টায় মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের জালিয়াপাড়া জেটি ঘাটে পৌঁছায়।
এসময় মিযানমারের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। এরপর প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে টেকনাফের কেরুনতলীস্থ প্রত্যাবাসন ঘাটে যান। সেখানে দুই পক্ষের বৈঠক শুরু হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কোনো মন্তব্য করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকটি মূলত হবে মিয়ানমারে পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা যাছাই বাছাই নিয়ে। বাংলাদেশের পাঠানো তালিকা থেকে মিয়ানমার যেসব রোহিঙ্গাকে তাদের নাগরিক হিসেবে যাচাই-বাছাই করে ফিরতি তালিকা দিয়েছিল- তা নিয়ে দুই দেশের এই বৈঠকে আলোচনা হবে।
বৈঠকে মিয়ানমারের যাচাই করা তালিকার অনেক রোহিঙ্গা দম্পতির পরিবারেই নতুন করে সন্তান জন্ম নিয়েছে। এর সত্যতাও যাচাই করা হবে।
শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের সূত্র থেকে জানা গেছে, তালিকার বিষয়টির বাইরেও পুরো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটির রুট ম্যাপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
শরণার্থী কমিশনের দাবি, বাংলাদেশ মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছিল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬০ হাজারের মতো। তালিকা ধরে এর আগেও দুবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোহিঙ্গাদের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আশ্রিত আছেন।